Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জনসমূহ

১.০ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ এবং মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার ২০১১ সালে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গঠন করে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের গতি আরো বেগবান ও কাজের সুষ্ঠু সমন্বয়ের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে পুনর্গঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গঠন করা হয়। আইসিটি খাতে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি স্থাপন, আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন ও নতুন নতুন সেবা উদ্ভাবন এবং আইসিটি শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ বিভাগ নানাবিধ প্রকল্প ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

১.১ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নাগরিক সেবা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে ৫৬৪ টি কারিগরি পদসহ মোট ৭৫৬ টি পদ সম্বলিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর গঠন করা হয়েছে। গত ১৪ জুলাই ২০১৫ সালে ২০০ (দুইশ) জন কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন জনবলকে বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলায় পদায়ন করা হয়েছে। আরো ১১১২ জনের জনবল কাঠামো অনুমোদিত হয়েছে যার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মাঠ পর্যায়ে আইসিটি সংক্রান্ত সেবাসমূহ প্রদান করা সরকারের পক্ষে আরো সহজতর হবে। এর ফলে জনগনকে হয়রানি মুক্ত সেবা প্রদান করা সহজ হবে।

১.২ ডেভেলপমেন্ট অব ন্যাশনাল ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্ণমেন্ট (BanglaGovNet) প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৮ টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ, ২২৭ টি দপ্তর/পরিদপ্তর, ৬৪ টি জেলা এবং ৬৪টি উপজেলা পর্যায়ের দপ্তরের মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন সরকারী গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনাসমূহে ৪৩ কি:মি: অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাগভনেট প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় Info-sarker-II প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪টি জেলা ও ৪৮৮টি উপজেলায় অবস্থিত ১৮৪৫৩টি সরকারী অফিসকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় সংযুক্তকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৮০০টি স্থানে Video Conferencing System চালু করা হয়েছে। সরকারী কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক Online এ সংযুক্ত রাখতে ২৫০০০ হাজার (পঁচিশ হাজার) সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে Tablet PC বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সচিবালয় ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে ওয়াই-ফাই সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

১.৩ ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইনফো-সরকার ফেজ-৩ প্রকল্পের আওতায় ২৬০০ ইউনিয়নে অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এবং Establishing Digital Connectivity Project এর মাধ্যমে সারাদেশের সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্টানকে অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন ও ইন্টারনের সেবা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

১.৪ ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠানের ডাটা সংরক্ষণের জন্য বিসিসি ভবনে একটি Tier-3 মানের ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে Tier-4 মানের ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলোজি পার্কে Disaster Recovery Centre স্থাপন করা রয়েছে।

১.৫ Establishment of South Asia Sub-regional Economic Cooperation (SASEC) প্রকল্পের মাধ্যমে SASEC ভুক্ত চারটি দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) মধ্যে রিজিওনাল নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অংশের পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত ৫৮ কিঃ মিঃ ফাইবার অপটিক ক্যাবল লাইন স্থাপন করা হয়েছে।

১.৬ Public Private Partnership এর ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর-এ ২৩২ একর জায়গার উপর হাইটেক পার্কের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ৯.১৮ একর জায়গার উপর যশোর সফ্‌টওয়ার টেকনোলজি পার্কে ১৫ তলা মাল্টি টেন্যান্ট ভবন এবং ১২ তলা ডরমিটরি ভবনের নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ার সফ্‌টওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৭ (সতের)টি আইটি কোম্পানীর মধ্যে স্পেস বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ৪৭ একর জায়গার উপর মহাখালী আইটি ভিলেজ স্থাপনের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। দেশের ১২টি স্থানে একক ডিজাইনের আইটি পার্ক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৭টি আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার হাইটেক পার্কের ডেভেলপার ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতোমধ্যে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের ১০টি এসআরও জারী করেছে।

১.৭ লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় নির্ধারিত ৫৫,০০০ ফ্রি-ল্যান্সারের মধ্যে ইতোমধ্যে ২০,০০০ জন মহিলাকে Basic ICT leteracy’র উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি অর্থ বছরে আরো ২৫০০০ যুবক/যুবতীকে Basic ICT Training’ এবং ১০০০০ জন সাইন্স গ্রাজুয়েট কে Advanced Outsourcing’র উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আইসিটি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই Mobile ICT Training Bus (Caravan Bus) ক্রয় করা হয়েছে। এ বাসে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জামাদি থাকবে যার মাধ্যমে বাসে বসেই উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ের শিক্ষিত যুবক যুবতীরা আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা সুযোগ পাবে। চলতি অর্থ বছরে প্রায় ১০০০ মহিলাকে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

১.৮। “Leveraging ICT for Growth, Employment and Governance” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৪,০০০ জন আইটি প্রফেশনাল তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। Fast Track Future Leader তৈরির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৩৮৭ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচিত ১০,০০০ জন সাইন্স গ্রাজুয়েট এর মধ্যে IT Top Up Training এর অংশ হিসেবে ১০০০ জন কে এবং Foundation Skill Training এর অংশ হিসেবে নির্বাচিত ২০,০০০ জনের মধ্যে ২০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। অধিকন্তু e- Governance প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৩,০০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

১.৯। দেশের আইটি জনবলের সক্ষমতাকে আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে বিশ্বমানে উন্নীত করতে “Capacity Building on ITEE (IT Engineers Examination) Management Project” শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১৬৭ জন কে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।

২.০ তৃণমূল পর্যায়ে আইসিটি শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে ৩,৫৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। গত ডিসেম্বর/২০১৭ এর মধ্যে সারাদেশে আরো ২,৯০১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং ৬৪টি জেলায় একটি করে ভাষা শিক্ষা ল্যাব স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সারাদেশে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবকে কেন্দ্র করে শেখ রাসেল আইসিটি ক্লাব গঠন করা হয়েছে যার মাধ্যমে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আইসিটি জ্ঞ্যন ল্যাব করতে পারে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে সমাজে অবদান রাখতে পারে।

২.১ আইসিটি শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দরিদ্র্য ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদেরকে আইটি বিষয়ে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার নিমিত্ত উৎসাহ প্রদানের জন্য One Student one Laptop' one Dream’ কর্মসূচির আওতায় ৩৫০ জন ছাত্র/ছাত্রীদেরকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি Quality Assurance Lab স্থাপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি এনিমেশন ল্যাব এবং BUET এ একটি রোবটিক ল্যাব স্থাপনসহ ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনের জন্য Equipment সরবরাহ করা হয়েছে।

২.২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম হতে ৫ম শ্রেণীর পাঠ্য বিষয়কে সহজ এবং শিখন-শেখানোর প্রক্রিয়াকে অংশগ্রহণমূলক ও আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সণে রূপান্তর কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।

২.৩ মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরত্ব হ্রাসকরে সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীন ক্ষুদ্র কৃষি উদ্যোক্তার উৎপাদিত পণ্য শহরের ভোক্তাদের মাঝে অনলাইনে বিক্রয় কার্যাদি সম্পাদনের লক্ষ্যে ই-সপ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

২.৪ নাগরিক সেবা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক ৬০০টি মোবাইল এ্যাপস উন্নয়ন করা হয়েছে যা বর্তমানে নাগরিক সেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে।

২.৫ সরকারের রূপকল্প ২০২১ পূরণে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দেশে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে সেবা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। লাইসেন্স প্রাপ্ত ০৫টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থা ও আগ্রহী ব্যক্তিবর্গের নিকট ডিজিটাল স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদান করছে। ইতোমধ্যে ২৫,০০০ (পচিশ হাজার) কর্মকর্তার মধ্যে ডিজিটাল স্বাক্ষর বিতরণ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

২.৬ E-Aia201, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৫, এর মত চারটি আন্তর্জাতিক মানের ICT সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে। আইসিটি পণ্য ও সেবাসমূহের ব্যবসায়িক সুবিধা সৃষ্টি ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গত ১৫-১৭ জুন, ২০১৫ বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৫ সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবাসমূহকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে গত ৫-১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সপ্তাহ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রবর্তনের মাধ্যমে নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিয়ে গত ০১-০২ ডিসেম্বর ১১তম e-ID Forum 2015 অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার কে BPO সেন্টারে রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে গত ০৯-১০ ডিসেম্বর ২০১৫ দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে BPO SUMMIT 2015 অনুষ্ঠিত হয়েছে এ ছড়াও Asia-Pacific Information Superhighway এর মত সংগঠনের সভাপতি বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ার গত ৩০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে এবং আইসিটি অধিদপ্তর এক বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে একটি সম্মেলন ঢাকায় সম্পন্ন করেছে।

২.৭ আইসিটি খাতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহন এবং যথাযথ নীতিসহায়তা প্রদানে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা International Tele-communication Union মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-কে “ICT’s Sustainable Development Award 2015” প্রদান করে। এছাড়াও নাগরিক সেবা প্রদানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সফল প্রয়োগের জন্য World Information Technology and Services Alliance (WITSA) কর্তৃক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে Public Sector Excellence ক্যাটাগরিতে “Global ICT Excellence Award 2014” প্রদান করা হয়েছে। এছারাও South South Co-Operation Visionary Award-2014, ICT for Development Award 2016 অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

২.৮ ইতোমধ্যেই ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০১৫’ অনুমোদিত হয়েছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি স্ট্রাটেজি গাইডলাইন ২০১৪’ এবং ‘তথ্য নিরাপত্তা পলিসি গাইডলাইন ২০১৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে, সাইবার অপরাধ দম ও নিরাপদ সাইবার ব্যবহারের লক্ষ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট প্রনয়ন করা হয়েছে।

২.৯ আইসিটি খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আধুনিক বিশ্বের সকল প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা, ই-সেবা এবং সরকারের অভ্যন্তরীণ তথ্য প্রবাহে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি প্রবর্তনের উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগসহ তার অধীনস্থ সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচির দ্বারা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ সকল কর্মসূচি সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সাধারণ জনগণের জন্য ই-সেবা প্রাপ্তি আরো সহজ হবে; ২০২১ সালের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার আধুনিক প্রতিচ্ছবি হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ বাস্তবায়িত হবে এবং বিশ্বের বুকে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।